Previous
Next

সর্বশেষ

শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৯

জন্মাষ্টমীর ব্রত-উপবাস

জন্মাষ্টমীর ব্রত-উপবাস

বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে শ্রীশ্রীকৃষ্ণাবির্ভাব বা জন্মাষ্টমীর ব্রত-উপবাস শুক্রবার।
------------------------------
শ্রীশ্রীচৈতন্যমঠ ও তদ্ শাখা সকল গৌড়ীয় মঠ, স্মার্তমত, বৃন্দাবনের বাবাজী সহ সকল মতেই শ্রীশ্রীকৃষ্ণের জন্মষ্টমী ব্রত-উপবাস আগামী ২৩।০৮।১৯ ইং রোজ শুক্রবার।
কারণ বৃহস্পতিবার--সপ্তমী ছাড়িয়া যাইবে- শেষ রাত্র ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সেকেন্ড।
তাহলে সপ্তমী শেষে অষ্টমী শুরু হইবে- শেষ রাত্র ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সেকেন্ড।
শুক্রবার সূর্যোদয়- ৫ টা ৪৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ড।
তাহা হইলে শুক্রবার সূর্যোদয়ের বহু পূর্বেই অষ্টমী চলিয়া আসায় জন্মাষ্টমী সূর্যোদয় বিদ্ধা হয় নাই।


কোন কোন অনবিজ্ঞ ব্যক্তি সকল ব্রতই অরুনোদয় বিদ্ধা হিসাবে পরিত্যজ্য মনে করিয়া থাকে, যদিও এইটা কেবল একদশী তিথিতে গন্য সে সূত্রও যদি গন্যকরি তবে সূর্যোদয় থেকে ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট বাদ দিয়া--
সূর্যোদয়- ৫ টা ৪৭ মিনিট ৪১ সেঃ
বিয়োগ(-) ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট ০০ সেঃ
------------------------
ব্রাহ্মমূহুর্ত- ৪ টা ১১ মিনিট ৪১ সেঃ শুরু হইবে।
যেহেতু অষ্টমী শুরু ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সে. সেহেতু ব্রাহ্মমূহুর্ত পায় নাই। তাহা হইলে অনভিজ্ঞদের হিসাবটিও ভুল।
জন্মাষ্টমী নির্ণয় প্রসঙ্গে ষড়গোস্বামীরগনের অন্যতম শ্রীল সনাতন গোস্বামীর লিখা শ্রীহরিভক্তিবিলাস গ্রন্থের ১২ বিলাসের ৩১৫ শ্লোকে বলা হইিয়াছে--
"প্রতিপৎ-প্রভৃতয়ঃ সর্বা উদয়াদোদয়াদ্রবেঃ।
সম্পূর্ণা ইতি বিখ্যাত হরিবাসর-বর্জিতা।
(হঃভঃবিঃ১২/৩১৫)
স্কন্দপুরাণে লিখিত আছে প্রতিপদাদি তিথি সমূহ সূর্যের এক উদয় হইতে পুনরুদয় পর্যন্ত ষষ্টীদন্ড ভোগকরিলেই সম্পূর্ণা অভিহিত হয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব আচার্য প্রবর শ্রীল বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভুর "প্রমেয়-রত্নাবলী" গ্রন্থেের ৮ম প্রমেয়, ৯ শ্লোকে এবং গৌড়ীয় গোষ্ঠিপতি প্রভুপাদ শ্রীশ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত মধ্যলীলা ২৪ পরিচ্ছেদের ৩৩৭ পয়ারে অনুভাষ্যে একই কথা বলা হইয়াছে।
জন্মাষ্টমী ব্রতোপবাসের আরো একটি বিধি রয়েছে তা হলো- রোহিনী নক্ষত্র যুক্ত দিনে উপবাস করিতে হয়।
এক্ষেত্রে শুক্রবার কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্র ১২ টা ৪৭ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত।
তার পর থেকে রোহিনীনক্ষত্র শনিবার রাত ১টা ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ড পর্যন্ত।
এক্ষেত্রে হরিভক্তিবিলাসের ১৫ বিলাসের ৩৫২ শ্লোকে বলা হইয়াছে-
উদয়ে চাষ্টমী কিঞ্চিন্নবমী সকলা যদি।
ভবতে বুধ সংযুক্তা প্রাজ্যপ্রত্যক্ষ সংযুতা।
অপি বর্ষশতেনাপি লভ্যতে বা ন বা বিভো।
(হঃভঃবিঃ১৫/৩৫২)
সূর্যোদয়কালে কিঞ্চিৎ মাত্র অষ্টমী থাকিয়া সমস্তদিবারাত্র নবমী হইলে তাহাতে বুধবার ও রোহিণী নক্ষত্র যোগ হইলে ইহা অতিদূর্লভ।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে শনিবার কিঞ্চিত মাত্রও অষ্টমী পায় নাই। তাই শাস্ত্র, যড়গোস্বামী, পূর্বতন আচার্য্যবর্গের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবারই জন্মাষ্টমীর ব্রতোপবাস।
পারণঃ শনিবার পূর্বাহ্ন ১০ টা ৩ মিনিট মধ্যে।(বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী)
------------------------------

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৯

প্রথম বারের মত A+♥ ব্লাড দিলেন জাগো হিন্দু পরিষদের একনিষ্ট কর্মি শ্রী যুক্ত বাবু নয়ন মজুমদার (২৮)।

প্রথম বারের মত A+♥ ব্লাড দিলেন জাগো হিন্দু পরিষদের একনিষ্ট কর্মি শ্রী যুক্ত বাবু নয়ন মজুমদার (২৮)।


SONATON BANGLA 


আজ সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে এক গর্ভবতি বোনকে প্রথম বারের মত A+♥ ব্লাড দিলেন জাগো হিন্দু পরিষদের একনিষ্ট কর্মি শ্রী যুক্ত বাবু নয়ন মজুমদার (২৮)।


"রক্ত দানে সচেতনতা বাঁচাতে পারে মানবনা"

আমরা সবাই এই স্লোগানে আসুন রক্ত দানে এগিয়ে আসি। রক্ত দিন জীবন বাঁচান আপনার এক বেগ রক্ত দানে একটি মানুষ সারা জীবন সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারবে।

রক্তদানে সহযোগিতায় : জাগো হিন্দু পরিষদ সন্দ্বীপ

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

এক গর্ভবতি মাকে প্রথম বারের মত ব্লাড দিলেন( সনাতন ব্লাড ব্যাংক) এর সদস্য সৈকত মজুমদার

এক গর্ভবতি মাকে প্রথম বারের মত ব্লাড দিলেন( সনাতন ব্লাড ব্যাংক) এর সদস্য সৈকত মজুমদার

আজ সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে এক গর্ভবতি মাকে প্রথম বারের মত ব্লাড দিলেন( সনাতন ব্লাড ব্যাংক) এর সদস্য সৈকত মজুমদার (২৩) এবং জাগো হিন্দু পরিষদের একনিষ্ট কর্মি।

সনাতন ব্লাড ব্যাংক কোন সংগঠন নয় সনাতন ব্লাড ব্যাংক হচ্চে একটি পরিবার। সনাতন ব্লাড ব্যাংক  এর প্রত্যাকটি লোক মানবতার কাজে এগিয়ে আসছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
Sonaton Bangla- Sonaton Blod Bank
Sonaton Bangla- Sonaton Blod Bank

"রক্ত দানে সচেতনতা বাঁচাতে পারে মানবনা"

আমরা সবাই এই স্লোগানে আসুন রক্ত দানে এগিয়ে আসি। রক্ত দিন জীবন বাঁচান আপনার এক বেগ রক্ত দানে একটি মানুষ সারা জীবন সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারবে।

রক্তদানে সহযোগিতায় : সনাতন ব্লাড ব্যাংক

ধন্যবাদ
বেদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান । সকল জ্ঞানের মূলে রয়েছে একাক্ষর প্রণব (ওঙ্কার )

বেদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান । সকল জ্ঞানের মূলে রয়েছে একাক্ষর প্রণব (ওঙ্কার )

যা কিছু কর না কেন অর্থ বুঝে কীর্ওন করতে হয় ,তবেত ভাব হবে।
 

হরে কৃষ্ণ ,হরে কৃষ্ণ ,কৃষ্ণ কৃষ্ণ ,হরে  হরে ।
হরে রাম ,হরে রাম ,রাম রাম ,হরে হরে

শ্রী চৈতন্য বলে গেলেন তারক ব্রহ্মনাম ,এ নামে জীবের এাণ হবে । তনি  কি আর মিছে বেেলছেন গো না মিছে বল্তে এসেছিলেন !কিন্তু ক’টা জীবের হল ?

 হরে , কৃষ্ণ , রাম -কথা ত তিনটি ,বার বার করে তিনি ষোল বার বলেছেন । নাম করে এ সাধাকের ষোলটি লক্ষণ প্রাকাশ পাবে- 
১। পঞ্চ প্রাণের জাগরন - প্রান ,অপ্রান ,ব্যান সমান ,উদান
২।পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের জাগরন - চক্ষু ,কর্ণ ,নাসিকা জিহ্বা  ,ত্বক ।
৩। ছয় রসের জাগরণ - লবন ,ইক্ষু ,সুরা ,সর্পী ,দধি দুগ্ধ ।
বল ত ক ’জনের হয়েছে?
রস কিন্তু সাতটি -সপ্তদশ  (১৭) বস্তুটির জাগরণ ব্যতীত সপ্তম রসটি পাওয়া যায় না ।

সপ্তদশ (১৭)নামটি রয়েছে এই ষোল নামের গোড়াতে । সেইটিকে জান্তে পারলে এই ষোলটিকে নিয়ে আর হাঙ্গামা    দরকার নেই  ।
একের মাঝে যে একশ সেই একটিকে জানলেই বোঝা যায় ।

গীতাতে ভগবান বলেছেন  - প্রণভ ঃ সর্ব্বদেবষু -
 বেদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান । সকল জ্ঞানের মূলে রয়েছে একাক্ষর প্রণব (ওঙ্কার )

দেবতা পূজা বিধি সম্মত ,না অবিধি সম্মত..?  চলুন গীতা থেকে যেনে নিই !!

দেবতা পূজা বিধি সম্মত ,না অবিধি সম্মত..? চলুন গীতা থেকে যেনে নিই !!

দেবতা পূজা বিধি সম্মত ,না অবিধি সম্মত..?  চলুন গীতা থেকে যেনে নিই !!

হে গীতা মুখী ভাইবোনেরা দেখুন ৯ম ২৩ শ্লোকে কি বলেছেন
যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধায়ান্বিতাঃ।
তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধি পূর্বকম্ ।।
Debota Puja 2019
Debota Puja 


অনুবাদ: হে অর্জুন,যে ব্যক্তি ভক্তির সহিত অন্য দেবতা পূজা করে তারও বিধিহীনভাবে (অর্থ্যাৎ বিধি সম্মত নয়) আমারি ভজনা করে।

৪র্থ অধ্যায় ১২ শ্লোক

অনুবাদ: যে ব্যক্তি দেবতা পূজা করিয়া সিদ্ধি লাভ করিতে চায়, সে তাহা দ¦ারা সিদ্ধিলাভ করে, কিন্তু সে ব্যক্তি মুক্তি লাভ করিতে পারে না। (অর্থ্যাৎ সে ব্যক্তি ঈশ্বরকে লাভ করতে পারে না)

৭ম অধ্যায়ের ২০ শ্লোক

নানা কামনায় যাহার জ্ঞান নাশ হয় সেই ব্যক্তি নানাভাবে অন্যদেবতার পূজা করে।

৭ম অধ্যায়ের ২১ শ্লোক

যে ভক্ত অন্য যেই দেবতাকে পূজা করিতে চায় সে দেবতাকে পূজা করিবার অচলা ভক্তি আমিই দিয়ে থাকি (এখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে অচলা ভক্তি আমিই  দিয়। তাহলে শুধু শুধু দেবতা পুজা করে শ্রীকৃষ্ণের কথাকে অসম্মান করার কি দরকার।)
৭ম ২৩ শ্লোক

অন্য দেবতা পূজা করিয়া ভক্ত যে ইষ্টলাভ করে তাহা ক্ষণস্থায়ী , কিন্তু আমার ভক্ত চিরদিনের জন্য আমাকে লাভ করে।( তালে আমারা শুধু শুধু ক্ষণস্থায়িটা কেন নিব)


যারা দেবতা পূজা করে তারা রজোগুণের অধিকারী
১৪অধ্যাযের ২১ শ্লোক

রজোগুণ বৃদ্ধিকালে মরিলে নরলোকে যায় এবং তমো বৃদ্ধি কালে মরিলে পশুযোনি প্রাপ্ত হয়  হে সনাতন, তা হলে আমরা কেন শুধু শুধু নরলোকে যাব এবং পশু কেন হব বলতে পারেণ )

(সব কিছু বাদ দিয়ে হৃদয়দেশে ধ্যান করুণ ভগবান নিশ্চয় প্রকাশিত হবে)

আমরা যাকে ভগবান মান্য করি তার কথা কি মেনে চলি ?

আমরা যাকে ভগবান মান্য করি তার কথা কি মেনে চলি ?

আমরা যাকে ভগবান মান্য করি তার কথা কি মেনে চলি ? দেবতা পূজা প্রসঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি বলেছেন চলুন গীতা থেকে জেনে নেওয়া যাক । 
SoNaton Bangla-Amra Jake vogoban mone kori
SoNaton Bangla-Amra Jake vogoban mone kori

নবম অধ্যায়রের ২৩নং শ্লোকে বলেছেন যে হে অর্জুন যারা ভক্তিপূর্বক অন্যদেবতার পূজা করে তারা ও অবিধিপূর্বক আমার ই পূজা করে । ২৪নং শ্লোকে আমি  (ঈশ্বর ) সর্ব যজ্ঞের ভোক্তা ও কর্মের ফলদাতা তা মুর্খ ব্যাক্তি তা জানে না  । তাই সংসারে অধোপতিত হয় । ।         

অপনাদের কোন মতামত থাকলে কমেন্টে যানাতে পারেন ।


রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

সনাতন ধর্ম মানুষকে কী দিচ্চে !!!

সনাতন ধর্ম মানুষকে কী দিচ্চে !!!

সনাতন ধর্ম মানুষকে দিচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনের পূর্ণ বাস্থবায়ন এর প্রত্যশা  ।আমদের প্রত্যকে জন্মের পর থেকে শুরু করে মৃত্যুর  পরবর্তী সময় পযর্ন্ত রয়েছে দশবিদ সংস্কার। আমাদের আরো রয়েছে কিভাবে ভগবান কে লাভ করা যায় তার বর্ণাশ্রম।তাছাড়া ও অর্থবিদ্যা,চিকিৎসা বিদ্যা ,মহাকাশ বিদ্যা ,উদ্ভিদ বিদ্যা ও প্রাণী বিদ্যার মত আরো এমন বিষয় নেই যে আমাদের সনাতন ধর্মে পাওয়া্ যায় না।
Amader Hindu Dormo ki Dicce-Sonaton Bangla


সৃষ্টি কর্তা কী রকম সাকার না নিরাকার,সাকার হলে কি রকম আর নিরাকার হলে কি রকম, সাকার উপসনা লাভ কী বা নিরাকার উপসনা হলে লাভ কী ।আত্মা কি ভাবে সৃষ্টি হয়েছে, তার আয়তন কত সে কিভাবে চলাফেরা করে।
এই রকম বিষয়ক গেন অর্জন করা যায় আমাদের সনাতন ধর্মে ।
সনাতন ধর্ম হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম।
আমাদের সনাতন ধর্মে কখনো কাহারো উপর জুলুম করেনি। বরং হাজারো নির্যাতন নিপাড়ণ হওয়ার পর ও মুখ বুঝে সহ্য করে আছে। ্এবং আমার ধর্ম বলে পারলে সহযোগিতা করো অন্যকে না হলে কারো  ক্ষতি করো না । এজন্য আমরা আমাদের নিয়ে গর্ববোধ করি।