বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে শ্রীশ্রীকৃষ্ণাবির্ভাব বা জন্মাষ্টমীর ব্রত-উপবাস শুক্রবার।
------------------------------
শ্রীশ্রীচৈতন্যমঠ ও তদ্ শাখা সকল গৌড়ীয় মঠ, স্মার্তমত, বৃন্দাবনের বাবাজী সহ সকল মতেই শ্রীশ্রীকৃষ্ণের জন্মষ্টমী ব্রত-উপবাস আগামী ২৩।০৮।১৯ ইং রোজ শুক্রবার।
কারণ বৃহস্পতিবার--সপ্তমী ছাড়িয়া যাইবে- শেষ রাত্র ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সেকেন্ড।
তাহলে সপ্তমী শেষে অষ্টমী শুরু হইবে- শেষ রাত্র ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সেকেন্ড।
শুক্রবার সূর্যোদয়- ৫ টা ৪৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ড।
তাহা হইলে শুক্রবার সূর্যোদয়ের বহু পূর্বেই অষ্টমী চলিয়া আসায় জন্মাষ্টমী সূর্যোদয় বিদ্ধা হয় নাই।
কোন কোন অনবিজ্ঞ ব্যক্তি সকল ব্রতই অরুনোদয় বিদ্ধা হিসাবে পরিত্যজ্য মনে করিয়া থাকে, যদিও এইটা কেবল একদশী তিথিতে গন্য সে সূত্রও যদি গন্যকরি তবে সূর্যোদয় থেকে ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট বাদ দিয়া--
সূর্যোদয়- ৫ টা ৪৭ মিনিট ৪১ সেঃ
বিয়োগ(-) ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট ০০ সেঃ
------------------------
ব্রাহ্মমূহুর্ত- ৪ টা ১১ মিনিট ৪১ সেঃ শুরু হইবে।
যেহেতু অষ্টমী শুরু ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সে. সেহেতু ব্রাহ্মমূহুর্ত পায় নাই। তাহা হইলে অনভিজ্ঞদের হিসাবটিও ভুল।
জন্মাষ্টমী নির্ণয় প্রসঙ্গে ষড়গোস্বামীরগনের অন্যতম শ্রীল সনাতন গোস্বামীর লিখা শ্রীহরিভক্তিবিলাস গ্রন্থের ১২ বিলাসের ৩১৫ শ্লোকে বলা হইিয়াছে--
"প্রতিপৎ-প্রভৃতয়ঃ সর্বা উদয়াদোদয়াদ্রবেঃ।
সম্পূর্ণা ইতি বিখ্যাত হরিবাসর-বর্জিতা।
(হঃভঃবিঃ১২/৩১৫)
স্কন্দপুরাণে লিখিত আছে প্রতিপদাদি তিথি সমূহ সূর্যের এক উদয় হইতে পুনরুদয় পর্যন্ত ষষ্টীদন্ড ভোগকরিলেই সম্পূর্ণা অভিহিত হয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব আচার্য প্রবর শ্রীল বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভুর "প্রমেয়-রত্নাবলী" গ্রন্থেের ৮ম প্রমেয়, ৯ শ্লোকে এবং গৌড়ীয় গোষ্ঠিপতি প্রভুপাদ শ্রীশ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত মধ্যলীলা ২৪ পরিচ্ছেদের ৩৩৭ পয়ারে অনুভাষ্যে একই কথা বলা হইয়াছে।
জন্মাষ্টমী ব্রতোপবাসের আরো একটি বিধি রয়েছে তা হলো- রোহিনী নক্ষত্র যুক্ত দিনে উপবাস করিতে হয়।
এক্ষেত্রে শুক্রবার কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্র ১২ টা ৪৭ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত।
তার পর থেকে রোহিনীনক্ষত্র শনিবার রাত ১টা ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ড পর্যন্ত।
এক্ষেত্রে হরিভক্তিবিলাসের ১৫ বিলাসের ৩৫২ শ্লোকে বলা হইয়াছে-
উদয়ে চাষ্টমী কিঞ্চিন্নবমী সকলা যদি।
ভবতে বুধ সংযুক্তা প্রাজ্যপ্রত্যক্ষ সংযুতা।
অপি বর্ষশতেনাপি লভ্যতে বা ন বা বিভো।
(হঃভঃবিঃ১৫/৩৫২)
সূর্যোদয়কালে কিঞ্চিৎ মাত্র অষ্টমী থাকিয়া সমস্তদিবারাত্র নবমী হইলে তাহাতে বুধবার ও রোহিণী নক্ষত্র যোগ হইলে ইহা অতিদূর্লভ।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে শনিবার কিঞ্চিত মাত্রও অষ্টমী পায় নাই। তাই শাস্ত্র, যড়গোস্বামী, পূর্বতন আচার্য্যবর্গের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবারই জন্মাষ্টমীর ব্রতোপবাস।
পারণঃ শনিবার পূর্বাহ্ন ১০ টা ৩ মিনিট মধ্যে।(বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী)
------------------------------
------------------------------
শ্রীশ্রীচৈতন্যমঠ ও তদ্ শাখা সকল গৌড়ীয় মঠ, স্মার্তমত, বৃন্দাবনের বাবাজী সহ সকল মতেই শ্রীশ্রীকৃষ্ণের জন্মষ্টমী ব্রত-উপবাস আগামী ২৩।০৮।১৯ ইং রোজ শুক্রবার।
কারণ বৃহস্পতিবার--সপ্তমী ছাড়িয়া যাইবে- শেষ রাত্র ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সেকেন্ড।
তাহলে সপ্তমী শেষে অষ্টমী শুরু হইবে- শেষ রাত্র ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সেকেন্ড।
শুক্রবার সূর্যোদয়- ৫ টা ৪৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ড।
তাহা হইলে শুক্রবার সূর্যোদয়ের বহু পূর্বেই অষ্টমী চলিয়া আসায় জন্মাষ্টমী সূর্যোদয় বিদ্ধা হয় নাই।
কোন কোন অনবিজ্ঞ ব্যক্তি সকল ব্রতই অরুনোদয় বিদ্ধা হিসাবে পরিত্যজ্য মনে করিয়া থাকে, যদিও এইটা কেবল একদশী তিথিতে গন্য সে সূত্রও যদি গন্যকরি তবে সূর্যোদয় থেকে ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট বাদ দিয়া--
সূর্যোদয়- ৫ টা ৪৭ মিনিট ৪১ সেঃ
বিয়োগ(-) ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট ০০ সেঃ
------------------------
ব্রাহ্মমূহুর্ত- ৪ টা ১১ মিনিট ৪১ সেঃ শুরু হইবে।
যেহেতু অষ্টমী শুরু ৩ টা ৫৭ মিনিট ৭ সে. সেহেতু ব্রাহ্মমূহুর্ত পায় নাই। তাহা হইলে অনভিজ্ঞদের হিসাবটিও ভুল।
জন্মাষ্টমী নির্ণয় প্রসঙ্গে ষড়গোস্বামীরগনের অন্যতম শ্রীল সনাতন গোস্বামীর লিখা শ্রীহরিভক্তিবিলাস গ্রন্থের ১২ বিলাসের ৩১৫ শ্লোকে বলা হইিয়াছে--
"প্রতিপৎ-প্রভৃতয়ঃ সর্বা উদয়াদোদয়াদ্রবেঃ।
সম্পূর্ণা ইতি বিখ্যাত হরিবাসর-বর্জিতা।
(হঃভঃবিঃ১২/৩১৫)
স্কন্দপুরাণে লিখিত আছে প্রতিপদাদি তিথি সমূহ সূর্যের এক উদয় হইতে পুনরুদয় পর্যন্ত ষষ্টীদন্ড ভোগকরিলেই সম্পূর্ণা অভিহিত হয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব আচার্য প্রবর শ্রীল বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভুর "প্রমেয়-রত্নাবলী" গ্রন্থেের ৮ম প্রমেয়, ৯ শ্লোকে এবং গৌড়ীয় গোষ্ঠিপতি প্রভুপাদ শ্রীশ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত মধ্যলীলা ২৪ পরিচ্ছেদের ৩৩৭ পয়ারে অনুভাষ্যে একই কথা বলা হইয়াছে।
জন্মাষ্টমী ব্রতোপবাসের আরো একটি বিধি রয়েছে তা হলো- রোহিনী নক্ষত্র যুক্ত দিনে উপবাস করিতে হয়।
এক্ষেত্রে শুক্রবার কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্র ১২ টা ৪৭ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত।
তার পর থেকে রোহিনীনক্ষত্র শনিবার রাত ১টা ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ড পর্যন্ত।
এক্ষেত্রে হরিভক্তিবিলাসের ১৫ বিলাসের ৩৫২ শ্লোকে বলা হইয়াছে-
উদয়ে চাষ্টমী কিঞ্চিন্নবমী সকলা যদি।
ভবতে বুধ সংযুক্তা প্রাজ্যপ্রত্যক্ষ সংযুতা।
অপি বর্ষশতেনাপি লভ্যতে বা ন বা বিভো।
(হঃভঃবিঃ১৫/৩৫২)
সূর্যোদয়কালে কিঞ্চিৎ মাত্র অষ্টমী থাকিয়া সমস্তদিবারাত্র নবমী হইলে তাহাতে বুধবার ও রোহিণী নক্ষত্র যোগ হইলে ইহা অতিদূর্লভ।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে শনিবার কিঞ্চিত মাত্রও অষ্টমী পায় নাই। তাই শাস্ত্র, যড়গোস্বামী, পূর্বতন আচার্য্যবর্গের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবারই জন্মাষ্টমীর ব্রতোপবাস।
পারণঃ শনিবার পূর্বাহ্ন ১০ টা ৩ মিনিট মধ্যে।(বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী)
------------------------------