==============
((( পাপের জন্য
মনে অনুশোচনা না থাকলে হাজার বছর
গঙ্গায় ডুব দিলেও কোন লাভ হবে না কেন
বলছি না পড়লে জানতে পারবেন না ))
ত্রেতা যুগের জমদগ্নি নামে একজন বিদ্বান
ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি সূর্যবংশীয়কন্যা
রেণুকা কার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
কিছুকাল পর তাদের ঘর আলো করে ভগবান
শ্রী বিষ্ণু পরশুরাম রুপে অবতার নেন।
পূর্বজন্মের তপস্যার দ্বারা তারা ভগবান
কে সন্তান রুপে পেয়েছেন।
ভগবান পরশুরাম অনেক দুষ্ট পাপী ক্ষত্রিয়
রাজাদের বধ করেন। পরশুরাম মহাদেব এর
উপাসক ছিলেন । দুষ্ট বা পাপী দের দমন
করার জন্য পরশু অস্ত্র
মহাদেব তাকে প্রদান করেন।
পরশুরাম এর মা রেণুকার সাথে তার
পিতা জমদগ্নির বিবাদ লেগেই থাকত।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ
লেগেই থাকত।একবার রেণুকা তার
স্বামী জমদগ্নি কে কিছু না বলে পিতার
গৃহে চলে যান।এতে ক্রুদ্ধ হয়ে জমদগ্নি তার
ছেলে পরশুরাম কে আদেশ করে তার
মা রেণুকার শীরচ্ছেদ করতে।পরশুরাম
বিচলিত হয়ে ওঠেন সে তার পিতার আদেশ
অমান্য করবে নাকি মাতৃহত্যার বোঝা বহন
করবে।উভয় সংকটে পরে যায় পরম শিবভক্ত
পরশুরাম।
পরশুরাম তার মায়ের কাছে গিয়ে বলেন যে,
তার পিতা আদেশ দিয়েছে তার শীরচ্ছেদ
করতে। পরশুরামের মা ছিলেন
সত্যপরায়ণা তাই তিনি তার
ছেলে পরশুকে আদেশ দিলেন সে তার পিতার
আদেশ রক্ষা করুক এবং তিনি নিজে তার মস্তক
ছেদকরবার জন্য প্রস্তুত করলেন। বুকে পাথর
চাপা দিয়ে পরশুরাম তার মায়ের শিরচ্ছেদ
করলেন।
শিরচ্ছেদ করবার পর ভগবান শিবের কৃপায়
তার মা আবার জীবিত হয়ে উঠলেও
পরশুরামের মাতৃহত্যার পাপ লেগে যায় । সেই
মাতৃহত্যার পাপের বোঝায় পরশুরাম উন্মাদ
হয়ে যান । পরবর্তীতে পরশুরাম ভগবান
শিবের ঘোর তপস্যা করে ভগবান শিব
কে সন্তুষ্টকরেন এবং ভগবানের কাছে তার
পাপ নিবারণের রাস্তা জেনে নেন।
ভগবান শিব তাকে বলেন হিমালয়ের কৈলাশ
পর্বতের নিচের মানস সরবরের থেকে যেই
নদ তৈরী হয়েছে তাতে স্নান
করলে তিনি অবশ্যই পাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
যেই কথা সেই কাজ পরশুরাম সেই
নদীতে স্নান করেণ এবং পাপমুক্ত হোন।
আর সেই নদেই হল বর্তমান পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
আর যেই স্থানে স্নান করেণ সেটাই ছিল
লাঙ্গলবন্দ আর তিথিটা ছিল চৈত্রের
অষ্টমী।
যদি মনের ভিতর পাপের
অনুশোচনা থাকে তা হলে ভগবান সকল পাপ
থেকে আমাদের মুক্ত করবেন ।এই
অনুশোচনা না থাকলে হাজার বছর গঙ্গায় ডুব
দিলেও কোন লাভ হবে না। মনের ময়লা দূর
করে ভক্তি শ্রদ্ধা সহকারে প্রভু ভোলানাথ
এর কাছে ক্ষমা চাইলে আমার ভোলানাথ
গঙ্গাধর কাউকে ফিরিয়ে দিবেন
না বাবা ভোলানাথ এর মহিমা এতটাই
বিশাল যা সাধারন মানুষ কল্পনাও
করতে পারবে না । বাবা ভলানাথের
জয়,মহাকালের জয়, বলুন সবাই মুনখুলে জয়
ভোলানাথ......।।
খবর বিভাগঃ
মহাদেব
0 মন্তব্য(গুলি):