রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৯

শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ত্রয়োদশ অধ্যায়

 ত্রয়োদশ অধ্যায়
প্রকৃতি পুরুষ বিবেক যোগ
অর্জুন উবাচ
প্রকৃতিম্‌ পুরুষম্‌ চ এ ক্ষেত্রম্‌ ক্ষেত্রজ্ঞ্‌ এব চ ।
এতত্ বেদিতু্‌ ইচ্ছামি জ্ঞান জ্ঞেয়্‌ম্‌ চ কেশব ।।১
অর্থ-অর্জুন বলিলেন-হে কেশব, আমি প্রকৃতি, পুরুষ, ক্ষেত্র,ক্ষেত্রজ্ঞ, জ্ঞান ও জ্ঞেয় এই সমস্ত তত্ত জানতে ইচ্‌ছা করি।
ভগবান উবাচ
ইদম শরিরম কৌন্তেয় ক্ষেত্রম ইতি অভিধিয়তে ।
এতত্ যঃ বেত্তি তম প্রাহুঃ ক্ষেত্রজ্ঞ ইতি তদ্ধিদঃ ।।২
অর্থ-ভগবান বলিলেন-হে অর্জুন এই শরিরে নামই ক্ষেত্র যিনি এই ক্ষেত্রকে অবগত হন, তিনিই ক্ষেত্রজ্ঞ।
ক্ষেত্রজ্ঞম চ অপি মাম বিদ্ধি সর্ব ক্ষেত্রেষু ভারত ।
ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞয়োঃ জ্ঞানম যত্ তত্ জ্ঞানম মতম মম ।।৩
অর্থ- হে ভারত আমাকে সমস্ত ক্ষেত্রের ক্ষেত্রজ্ঞ বলে জানবে, এবং ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞ সম্বন্ধে যথাযত ভাবে অবগত হওয়াই আমার মতে প্রকৃত জ্ঞান।

তত্ ক্ষেত্রম যত্ চ যাদৃক চ যত্ বিকারি যতঃ চ যত্ ।
সঃ চ যত্ প্রভাবঃ চ তত্ সমাসেন মে শৃণু ।।৪
অর্থ-সে ক্ষেত্র কি,তার প্রকার কি,তার বিকার কি ,তা কার থেকে উত্পন্ন হয়েছে এবং তার প্রভাব কি, আমি সংক্ষেপে বলছি শ্রবন কর।

ঋষিভিঃ বহুধা গীতম্‌ ছন্দোভিঃ বিবিধৈঃ পৃথক ।
ব্রহ্মসুত্র পদৈঃ চ এব হৈতুমদ্ভিঃ বিনিশ্চিতৈঃ ।।৫
অথ- এই ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞর জ্ঞান ঋষিগণ বৈদিক শাস্ত্রে বর্ননা করেছেন। বেদান্ত সুত্রে তা বিশেষ ভাবে যুক্তি যুক্ত সিদ্ধানত সহকারে বর্নিত আছে।


মহাভুতানি অহঙ্কার বুদ্ধি অব্যক্তম্‌ এব চ ।
ইন্দিয়ানি দশৈকম্‌ চ পঞ্চ চ ইন্দ্রিয়-গোচরাঃ ।।৬

ইচ্ছা দ্বেষঃ সুখম্‌ দুঃখম্‌ সংঘাতঃ চেতনা ধৃতি ।
এতত্ ক্ষেত্রম সমাসেন সবিকারম্‌ উদাহৃতম ্‌।।৭
অর্থ-পঞ্চমহাভুত, অহঙ্কার, বুদ্ধি, অব্যক্ত, দশ ইন্দিয় ও মন, ইন্দিয়ের পাঁচটি বিষয়, ইচ্ছা, দ্বেষ, সুখ, দুঃখ, সংঘাত্ অর্থাত্ পঞ্চমহাভুতের পরিনামরুপ দেহ, চেতনা এবং ধৃতি- এই সমস্ত বিকার যুক্ত ক্ষেত্র সংক্ষেপে বর্নিত হল।
অমানিত্বম্‌ অদম্ভিতম্‌ অহিংসা ক্ষান্তি আর্জবম ।
আচার্যোপাষনম শৌচম্‌ স্থৈর্যম আত্মবিনিগ্রহঃ ।।৮

ইন্দিয়ার্থেষু বৈরাগ্যম্‌ অনহংঙ্কারঃ এব চ ।
জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি দুঃখ দোষ অনুদর্শনম্‌ ।।৯

অসক্তিঃ অনভিস্বঙ্গঃ পুত্র দার গৃহাদিষু ।
নিত্তম্‌ চ সমচিত্তত্বম্‌ ইষ্ট অনিষ্ট উপপত্তিষু ।।১০

ময়ি চ অনন্য যোগেন ভক্তিঃ অব্যভিচারিণী ।
বিবিক্ত দেশ সেবিত্তম্‌ অরতিঃ জনসংসদি ।।১১

অধ্যাত্ম জ্ঞান নিত্যত্বম্‌ তত্ত্ব জ্ঞান অর্থ দর্শনম ।
এতত্ জ্ঞানম ইতি প্রোক্তম্‌ অজ্ঞানম্‌ যত্ অতঅন্যথা ।।১২
অর্থ- অমানিত্য, দম্ভশুন্যতা, অহিংসা, ক্ষমা, সরলাতা, গুরুসেবা, শৌচ, স্থৈর্য্য, আত্মসংযম্‌, ইন্দ্রিয়বিষয় বৈরাগ্য, অহংঙ্কারশুন্যতা, জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যধি-দুঃখ্য প্রভৃতির দোশ দর্শন, পুত্রাদিতে আসক্তিশুন্যতা, পুত্রাদির শোক দুঃখে ঔদাসিন্য, সর্বদা সমচিত্ত্বত্ব, আমার প্রতি অনন্যা ও অব্যভিচারিণী ভক্তি, নির্জন স্থানে প্রিয়তা, জনাকির্ণ স্থানে অরুচি, আধ্যত্মজ্ঞানে নিত্তত্ব বুদ্ধি এবং পরম তত্ত অনুসন্ধানে ঐকান্তিক আগ্রহ,এইগুলি আত্মজ্ঞানে সাধন বলে কথিত হয় এবং বিপরিত যা কিছু সবই অজ্ঞান।

জ্ঞেয়ম্‌ যত্ তত্ প্রবক্ষামি অমৃতম্‌ ্‌অশ্নুতে ।
অনাদি মত্পর্‌ম্‌ ব্রহ্ম ন সত্ তত্ ন অসত্ উচ্যতে ।।১৩
আমি এখন তোমাকে জ্ঞানের কথা বলব, যা জেনে তুমি অমৃত তত্ত লাভ করবে। সেই জ্ঞেয় বস্তু অনাদি এবং আমার আশ্রিত। তাকে বলা হয়ে ব্রহ্ম এবং তা এই জড় জগতের কার্য্য ও কারণের অতীত।

সর্বতঃ পানি পাদম তত্ সর্বতঃ অক্ষি শির মুখম্‌ ।
সর্বতঃ শ্রুতিমত্ লোকে সর্বম আবৃতম্‌ তিষ্ঠতি ।।১৪
অর্থ-তার হস্ত পদ চক্ষু ও কর্ন মস্তক ও মুখ সর্বত ব্যপ্ত এই ভাবে তিনি সকলকেই আবৃত করে বিরাজমান।

সর্ব ইন্দ্রিয় গুন আভাসম সর্ব ইন্দ্রিয় বিবর্জিতম্‌ ।
অসক্তম সর্বভুত চ এব নির্গুনম গুনভোক্তৃ চ ।।১৫
অর্থ-সেই পরম আত্মা সমস্ত ইন্দ্রিয়ের প্রকাশক তথাপি তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয় বিবর্জি। যদিও তিনি সকলের পালক তথাপি তিনি সম্পুর্ন অনাসক্ত। তিনি জড়া প্রকৃতির গুনের অতিত তথাপি তিনি সমস্ত গুনের ঈশ্বর।

বহিঃ অন্তঃ চ ভুতানাম্‌ অচরম্‌ চরম্‌ এব চ ।
সুক্ষ্মত্বাত্ তত্ অবিজ্ঞেয়ম দুরস্তম্‌ চ অন্তিকে চ তত্ ।।১৬
অর্থ-সেই পরম্‌ তত্ত্ব সমস্ত ভুতের অন্তরে ও বাহিরে বর্ত্তমান। তার থেকেই সমস্ত চরাচর ,তিনি জড় ইন্দ্রিয়ের অগোচর এবং অবিজ্ঞেয়। যদিও তিনি বহুদুরে অবস্থিত তবুও তিনি সকলের অত্যন্ত নিকটে।

অবিভক্তম্‌ ভুতেষু বিভক্তম্‌ ইব চ স্থিতম্‌ ।
ঋুতভর্তৃ চ তত্ জ্ঞেয়ম্‌ গ্রাসিষ্ণু প্রভবিষ্ণু চ ।।১৭
অর্থ-পরমাত্মাকে যদিও সমস্ত ভুতে বিভক্তরুপে বোদ হয়, কিন্তু তিনি অবিভক্ত। তিনি সর্বভুতের পালক,
সংহার কর্তা ও সৃষ্টিকর্তা।

জ্যোতিসাম্‌ অপি তত্ জ্যোতিঃ তমসঃ পরম উচ্যতে ।
জ্ঞানম্‌ জ্ঞেয়ম্‌ জ্ঞানগম্যম্‌ হৃদি সর্বস্য বিষ্ঠিতম ।।১৮
অর্থ-তিনি সমস্ত জ্যোতিস্কের পরম জ্যোতি; তিনি সমস্ত অন্ধকারের অতিত এবং অব্যক্তসরুপ । তিনিই জ্ঞান তিনিই জ্ঞেয় এবং তিনিই জ্ঞানগম্য তিনিই সকলের হৃদয় অবস্থিত।

ইতি ক্ষেত্রম্‌ তথা জ্ঞানম জ্ঞেয়ম চ উত্তম্‌ সমাসতঃ ।
মত্ ভক্তঃ এতত্ বিজ্ঞায় মদ্ভাবায় উপপদ্যতে ।।১৯
অর্থ-সংক্ষেপে আমি তোমাকে ক্ষেত্র জ্ঞান ও জ্ঞেয় এই তিনটি তত্ত বলিলাম। আমার ভক্তরাই কেবল এই
জ্ঞান লাভ করে আবার প্রেমভক্তি লাভ করে।
প্রকৃতিম্‌ পুরুষম্‌ চ এব বিদ্ধি অনাদী উভৌ অপি ।
বিকারান চ গুণান চ এব বিদ্ধি প্রকৃতি সম্ভবান ।।২০
অর্থ-প্রকৃতি এবং পুরুষ উভয়েই আদি বলে জানবে। তাদের বিকার এবং গুনসমুহ প্রকৃতি থেকে উত্পন্ন বলে জানবে।
কার্য কারন কর্তৃত্বে হেতুঃ প্রকৃতি উচ্যতে ।
পুরুষ সুখ দুঃখানাম্‌ ভোক্তৃত্বেূ হেতুঃ উচ্যতে ।।২১
অর্ত-প্রকৃতি সমস্ত কার্য এবং কারনের হেতু এবং জীব এই জড় জগতের সমস্ত সুখ ও দুঃখ সমুহের
উপলব্ধির কারন।
পুরুষ প্রকৃতিস্থঃ হি ভুঙক্তে প্রকৃতিজান গুনান ।
কারনম্‌ গুনসঙ্গঁ অস্য সদসদ যোনি জন্মসু ।।২২
অর্থ-জড়া প্রকৃ্রতিতে অবস্তিত জীব প্রকৃতির গুন সমুহ ভোগ করে। প্রকৃতির গুনের সংঙ্গ বসতই
তার সত্ ও অসত্ যোনিসমহে জন্ম হয়ে।

উপদ্রস্টা অনুমন্তা চ ভর্তা ভোক্তা মহেশ্বর ।
পরমাত্মা ইতি চ অপি উক্ত দেহে অস্মিন পুরুষপর ।।২৩
অর্থ-তথাপি এই শরিরে আর একজন পরম ভোক্তা রয়েছে। তিনি পরম ঈশ্বর পরম প্রভু তিনি সকলের
সমস্ত কর্মের স্বাক্ষী এবং অনুমোদন কর্তা। তাকে বলা হয়ে পরমাত্মা।

এবম বেত্তি পুরুষম প্রকৃতিম্‌ চ গুণৈঃ সহ ।
সর্বথা বর্তমান অপি ন সঃ ভুঃয় অভিজায়তে ।২৪
অর্থ-যিনি এই ভাবে জড়া প্রকৃতি এবং গুনের প্রভাবে অবগত হন, তিনি জড়জগতে বর্ত্তমান হয়েও পুনঃ
পনঃ জন্মগ্রহনকরে না। অর্থাত্ আমার প্রাসাধে আমার পরম ধাম প্রাপ্ত হন।


ধ্যানেন আত্মনি পশ্যন্তি কেশ্চিত্ আত্মনম্‌ আত্মন ।
অন্যে সাংখেন যোগেন কর্মযোগেন চ অপরে ।।২৫
অর্থ-কেউ কেউ পরম আত্মাকে ধ্যানের মাধ্যমে দর্শন করেন, কেউ যোগের মাধ্যমে দর্শন, করেন এবং অন্য কেউ কর্ম যোগের মাধ্যমে দর্শন করেন।


অন্যে তু এবম্‌ অজানন্তঃ শ্রুত্বা অন্যেভ্যঃ উপাসতে।
তে অপি চ অতিতরন্তি এব মৃত্যুম্‌ শ্রুতি পরায়না ।।২৬
অর্থ-অন্য কেউ কেউ আত্মাকে জানতে না পেরে আচার্য্যের উপদেশ গ্রহন করে, উপসনা করেন; তারাও
সদগুরু প্রদত্ত উপদেশ নিষ্টা সহকারে সাধন করে এই মৃত্যুময় সংসার অতিক্রম করে।

যাবত্ সংজায়তে কিঞ্চিত্ সত্ত্বম্‌ স্থাবর জঙ্গঁমম্‌।
ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞ সংযোগাত্ তত্ বিদ্ধি ভরতর্ষভ ।।২৭
অর্থ-হে ভরত শ্রেষ্ঠ স্থাবর জঙ্গঁম যা কিছু আছে তা সবই ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞের সংযোগের ফলে উপন্ন হয়েছে
বলে জানবে।

সমম সর্বেষু ভুতেষু তিষ্ঠস্তম পরমেশ্বরম্‌ ।
বিনশ্যত্সু অবিনশ্যন্তম্‌ যঃ পশ্যতি সঃ পশ্যতি ।।২৮
অর্থ-যিনি সর্বভুতে সমভাবে অবস্তিত পরম্‌ আত্মাকে দর্শন করেন তিনি জানেন যে জীব আত্মা এবং
পরম্‌ আত্মা উভয়েই অবিনাশী,তিনিই প্রকৃতভাবে দর্শন করেন।

সমম্‌ পশ্যন হি সর্বত্র সমবস্থিতম্‌ ঈশ্বরম।
ন হিনস্তি আত্মনম্‌ ততঃ যাতি পরাম্‌ গতিম ।।২৯
অর্থ-যিনি সর্বত্র সমভাবে অবস্থিত পরম্‌ আত্মাকে দশৃন করেন, তিনি কখন মনের দ্বারা অধপতন সাধন করেন না। এই ভাবে তিনি পরম গতি লাভ করেন।

প্রকৃত্যা এব চ কর্মানি ক্রিয় মানানি সর্বস্যঃ ।
যঃ পশ্যতি তথা আত্মনম্‌ অকর্তারম্‌ সঃ পশ্যতি ।।৩০
অর্থ-দেহের দ্বারা কৃত সমস্ত কর্ম প্রকৃতিই সম্পাদন করেছে, শুদ্ধ আত্মাস্বরুপ আমি কিছুই করি না এই ভাবে যিনি দর্শন করেন,তিনিই যথাযথ ভাবে দর্শনকরেন।

যদা ভুত পৃথক-ভাবম্‌ একস্থম অনুপশ্যতি।
ততঃ এব চ বিস্থারম্‌ ব্রহ্ম সম্পাদতে তদা ।।৩১
অর্থ-বিবেকমান পুরুষ যখন জঢ়দেহের পার্থক্য অনুসারে বিভিন্ন জীবের পার্থক্য দশৃন করেন না ; তিনিই
ব্রহ্মভুত অবস্থা প্রাপ্ত হন। এই ভাবে তিনি সর্বত্র চিন্ময় প্রকৃতির বিস্তার দর্শন করেন।

অনাদিত্বাত্ নির্গুনত্বাত্ পরম্‌ আত্মা অয়ম অব্যয়ম।
শরিরস্থ অপি কৌন্তেয় ন করোতি ন লিপ্যতে ।।৩২
অর্থ-ব্রহ্মভুত অবস্থায় জীব দর্শন করে যে ,আত্মচিন্ময়,অনাদি,নির্গুন এবং জড়া প্রকৃতির অতিত। হে অর্জুন জড়দেহে অবস্থান করলেও আত্মা কোন কিছ ুকরেন না এবং কোন কিছুতে লিপ্ত হন না।

যথা সর্ব গতম সৌক্ষ্যাত্ আকাশম্‌ ন উপলিপ্যতে ।
সর্বত্র অবস্থিতঃ দেহে তথা আত্মা ন উপলিপ্যতে ।।৩৩
অর্থ-আকাশ যেমন সর্ব গত হয়েও সুক্ষ্মতা হেতু অন্য বস্তুতে লিপ্ত হয়ে না, তেমনি ব্রহ্ম দর্শনসম্পন্ন ব্যক্তি দেহে অবস্থিত হয়েও দেহ ধর্মে লিপ্ত হন না।

যথা প্রকাশয়তি একঃ কৃত্স্নম্‌ লোকম্‌ ইমম্‌ রবি ।
ক্ষেত্রম্‌ ক্ষেত্রী তথা কৃতত্স্নম্‌ প্রকাশয়তি ভারত ।।৩৪
অর্থ-হে ভারত একসুর্য যেমন সমস্ত জগত্ কে প্রকাশ করে, ক্ষেত্রী আত্মাও সেই ভাবে সমগ্র ক্ষেত্রকে প্রকাশিত করে।

ক্ষত্র ক্ষেত্রজ্ঞয়ো এবম্‌ অন্তরম্‌ জ্ঞান চক্ষুষা ।
ভূত প্রকৃতি মোক্ষ্যম্‌ চ যে বিদুঃ যান্তিতে পরম ।।৩৫
অর্থ-যারা এই ভা েকে্ষত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞের পার্থক্য জানেন এবং জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার
পন্থা জানেন তারা পরম্‌ গতী লাভ করেন।

শেয়ার করুন

0 মন্তব্য(গুলি):