ভগবান কে ? তা আজ জেনে নিই:
¢♪♪♪♪ পরাশর মুনি ;ভগবান; শব্দটির সংজ্ঞা প্রদান করেছেন । ;ভগ; অর্থ ঐশ্বর্য্য এবং;বান; অর্থ অধিকারী , যার আছে । ঠিক যেভাবে যার সুন্দর রূপ আছে - আমরা তাকে বলি রূপবান, যার ধন আছে ধনবান , ঠিক তদ্রুপ যিনি ভগ অর্থাৎ ঐশ্বর্যের অধিকারী তাকে বলে ভগবান । পরাশর মুনি ভগবান শব্দের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন-
"ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্য বীর্যস্য যশসঃ শ্রিয়ঃ । জ্ঞানবৈরাগ্যয়োশ্চৈব ষন্নত্ভগ ইতিঙ্গনা ॥
যার মধ্যে এই ছয়টি গুন পূর্ণমাত্রায় বর্তমান, তিনি হচ্ছেন ভগবান - সমস্ত ঐশ্বর্য্য ,সমস্ত বীর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শ্রী ,সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত বৈরাগ্য । এই জগতে কেউ বড় ধনী হতে পারে, কিন্তু কেউ দাবী করতে পারেনা আমি সমস্ত ধনের মালিক । এই জগতে কেউ জ্ঞানী হতে পারে ,কিন্তু সে দাবী করতে পারে না সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী । কিন্তু ভগবান সমস্ত ধন ,সমস্ত জ্ঞান ,সমস্ত সৌন্দর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শক্তির অধিকারী , তাই তাকে বলা হয় ভগবান । পরম ব্রহ্ম ভগবান সর্ম্পকে বেদান্ত সূত্রের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে ;অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা ; সেই পরম ব্রহ্মটি কে ? তার উত্তরে দ্বিতীয় শ্লোকে বর্ননা করা হয়েছে ;জন্মদস্য যতঃ; এই সুত্রটি শ্রীমদ্ভাগবতের ব্যাসদেব তার শ্লোকে সংযোজন করেছেন এভাবে: "জন্মদস্য যতোহন্বয়াদিতরতশ চার্থেষ্বভিজ্ঞ স্বরাট্ ; জন্ম আদি অস্য যতঃ -" অর্থাৎ যা হতে এ দৃশ্যমান জগত অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড ,জন্ম আদি অর্থাৎ সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় হয় তিনি হচ্ছেন পরম ব্রহ্ম ভগবান ।"
অহং সর্বস্য প্রভবো মত্তঃ সর্বং প্রবর্ততে । ইতি মত্বা ভজন্তে মাং বুধা ভাবসমম্বিতাঃ ॥ - ভগবদগীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বর্ননা করেছেন আমি সমস্ত কিছুর উতৎ ও সবকিছু আমার কাছ থেকে উৎপত্তি হয়েছে । অর্থাৎ ভগবান হচ্ছেন সবকিছুর স্রষ্টা, সবকিছুর পালন করেন এবং তিনি সবকিছু সংহার করতে পারেন । এভাবে ভগবানের সর্বশক্তিমত্ত্বা সর্ম্পকে শাস্ত্রে বর্ননা করা হয়েছে । ভগবানকে কেউ ঈশ্বর বলে সম্বোধন করে থাকেন । তাই ঈশ্বর শব্দটির অর্থ আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন । শাস্ত্র বা শব্দকোষ অনুসারে ঈশ্বর শব্দের অর্থ হচ্ছে -নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণ কর্তা অর্থাৎ যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ।এই জগতের প্রতিটি জীবের সীমিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে , তাই তারা নিজেকে ঈশ্বর বলে মনে করতে পারে বা দেবতাদেরকে ঈশ্বর বলে গ্রহন করা যেতে পারে । যেহেতু তারা এই ব্রহ্মান্ডের কোনও না কোন কার্যের নিয়ন্ত্রন করে থাকেন । কিন্তু ঈশ্বরকে যিনি নিয়ন্ত্রন করেন । সেই পরমেশ্বরকে জানাই হচ্ছে জীবনের লক্ষ্য । পরমব্রহ্ম বা পরম ঈশ্বরকে নিয়ন্ত্রন করে থাকেন , তিনিই ভগবান । ভগবান শব্দটি সমাজে যেমন খুশি ব্যবহার হচ্ছে , সেভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় । বর্তমান সমাজ যেকোন যোগ-সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির প্রতি এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় যা শাস্ত্রবিরোধী ।
♣ হরেকৃষ্ণ ♣
¢♪♪♪♪ পরাশর মুনি ;ভগবান; শব্দটির সংজ্ঞা প্রদান করেছেন । ;ভগ; অর্থ ঐশ্বর্য্য এবং;বান; অর্থ অধিকারী , যার আছে । ঠিক যেভাবে যার সুন্দর রূপ আছে - আমরা তাকে বলি রূপবান, যার ধন আছে ধনবান , ঠিক তদ্রুপ যিনি ভগ অর্থাৎ ঐশ্বর্যের অধিকারী তাকে বলে ভগবান । পরাশর মুনি ভগবান শব্দের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন-
"ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্য বীর্যস্য যশসঃ শ্রিয়ঃ । জ্ঞানবৈরাগ্যয়োশ্চৈব ষন্নত্ভগ ইতিঙ্গনা ॥
যার মধ্যে এই ছয়টি গুন পূর্ণমাত্রায় বর্তমান, তিনি হচ্ছেন ভগবান - সমস্ত ঐশ্বর্য্য ,সমস্ত বীর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শ্রী ,সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত বৈরাগ্য । এই জগতে কেউ বড় ধনী হতে পারে, কিন্তু কেউ দাবী করতে পারেনা আমি সমস্ত ধনের মালিক । এই জগতে কেউ জ্ঞানী হতে পারে ,কিন্তু সে দাবী করতে পারে না সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী । কিন্তু ভগবান সমস্ত ধন ,সমস্ত জ্ঞান ,সমস্ত সৌন্দর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শক্তির অধিকারী , তাই তাকে বলা হয় ভগবান । পরম ব্রহ্ম ভগবান সর্ম্পকে বেদান্ত সূত্রের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে ;অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা ; সেই পরম ব্রহ্মটি কে ? তার উত্তরে দ্বিতীয় শ্লোকে বর্ননা করা হয়েছে ;জন্মদস্য যতঃ; এই সুত্রটি শ্রীমদ্ভাগবতের ব্যাসদেব তার শ্লোকে সংযোজন করেছেন এভাবে: "জন্মদস্য যতোহন্বয়াদিতরতশ চার্থেষ্বভিজ্ঞ স্বরাট্ ; জন্ম আদি অস্য যতঃ -" অর্থাৎ যা হতে এ দৃশ্যমান জগত অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড ,জন্ম আদি অর্থাৎ সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় হয় তিনি হচ্ছেন পরম ব্রহ্ম ভগবান ।"
অহং সর্বস্য প্রভবো মত্তঃ সর্বং প্রবর্ততে । ইতি মত্বা ভজন্তে মাং বুধা ভাবসমম্বিতাঃ ॥ - ভগবদগীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বর্ননা করেছেন আমি সমস্ত কিছুর উতৎ ও সবকিছু আমার কাছ থেকে উৎপত্তি হয়েছে । অর্থাৎ ভগবান হচ্ছেন সবকিছুর স্রষ্টা, সবকিছুর পালন করেন এবং তিনি সবকিছু সংহার করতে পারেন । এভাবে ভগবানের সর্বশক্তিমত্ত্বা সর্ম্পকে শাস্ত্রে বর্ননা করা হয়েছে । ভগবানকে কেউ ঈশ্বর বলে সম্বোধন করে থাকেন । তাই ঈশ্বর শব্দটির অর্থ আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন । শাস্ত্র বা শব্দকোষ অনুসারে ঈশ্বর শব্দের অর্থ হচ্ছে -নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণ কর্তা অর্থাৎ যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ।এই জগতের প্রতিটি জীবের সীমিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে , তাই তারা নিজেকে ঈশ্বর বলে মনে করতে পারে বা দেবতাদেরকে ঈশ্বর বলে গ্রহন করা যেতে পারে । যেহেতু তারা এই ব্রহ্মান্ডের কোনও না কোন কার্যের নিয়ন্ত্রন করে থাকেন । কিন্তু ঈশ্বরকে যিনি নিয়ন্ত্রন করেন । সেই পরমেশ্বরকে জানাই হচ্ছে জীবনের লক্ষ্য । পরমব্রহ্ম বা পরম ঈশ্বরকে নিয়ন্ত্রন করে থাকেন , তিনিই ভগবান । ভগবান শব্দটি সমাজে যেমন খুশি ব্যবহার হচ্ছে , সেভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় । বর্তমান সমাজ যেকোন যোগ-সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির প্রতি এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় যা শাস্ত্রবিরোধী ।
♣ হরেকৃষ্ণ ♣
খবর বিভাগঃ
ভগবান কে
সনাতন ধর্ম
হরে কৃষ্ণ
হিন্দু ধর্মীয় প্রশ্ন ও উত্তর
0 মন্তব্য(গুলি):