প্রায়ই আমরা একটা কথা মুখে মুখে শুনতে পাই যে হিন্দুধর্মে তেত্রিশ কোটি দেবতা আছেন, এমনকি অনেক বইতেও এটা লক্ষ্য করা যায়। আসলে সনাতন ধর্মের অপপ্রচার এটাই যে হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেবতা আর অনভিজ্ঞ যারা তারাও বলে আমাদের ৩৩ কোটি (সংখ্যায়) দেবতা । এ নিয়ে অনেকেই হিন্দু ধর্মের দেবতার এই সংখ্যা নিয়ে পরিহাস করে। সত্যিই এটা হাস্যকর, আমরা গুণে ১০০ দেবতার নামই বলতে পারবো না, সেখানে তেত্রিশ কোটি দেবতার কথা হাস্যকরই বটে। এখানে আরো একটা কথা বলা দরকার যে এটা শুধু বাঙালীদের মুখেই শোনা যায়। আচ্ছা , এটা কেউ কোনোদিন কোনো হিন্দীভাষীর মুখে শুনেছে যে ' হামারে তেত্রিশ কড়োর দেব-দেবীয়া হ্যায়' ? না, শোনেনি। তার মানে শুধু বাঙালীদের দেবতাই তেত্রিশ কোটি। এটা পুরোটাই ভ্রান্ত-ধারণা ।
তাহলে কি এটা ভুল তথ্য যে তেত্রিশ কোটি দেবতা নেই? না,এটা ভুল তথ্যও নয়। আসলে এটা সঠিক তথ্য না জানা এবং অনভিজ্ঞতার ফল যার কারণে এর সঠিক অর্থ বাঙালীদের জানা নেই। সবার কথা বলছি না, তবে অনেকেরই এটা জানা নেই।
এবার দেখা যাক আসল অর্থ কি? প্রথমে 'কোটি' শব্দটি নিয়ে বলি।কোটি অর্থ প্রচলিত বাংলায় সংখ্যাসূচক (crore) হলেও সংস্কৃত ভাষায় এর অর্থ 'ধরণ' বা 'প্রকার'। আর বেদে দেবতা বলে কোনো শব্দ নেই, আসল সংস্কৃত শব্দটি হলো 'দেব'।আর সংস্কৃত ভাষায় দেব শব্দটির অর্থ শক্তি। অর্থাৎ তেত্রিশ কোটি দেব এর অর্থ তেত্রিশ প্রকার শক্তি। ঈশ্বরের তেত্রিশ প্রকার শক্তির কথাই বলা হয়েছে বেদ ধর্মগ্রন্থে।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে এই তেত্রিশ প্রকারে কোন কোন শক্তির কথা বলা হয়েছে। এগুলোকে ভাগ করা হয়েছে চার ভাগে।
প্রথম ভাগে আছে ১২ টি প্রকার । যথা - আদিত্য-ধাতা, মিত, আযমা, শুক্রা, বরুন, অংশ, ভাগ, বিবস্বান, পুষ, সবিত্রা, তবাস্থা এবং বিষ্ণু।
দ্বিতীয় ভাগে আছে ৮ টি প্রকার। যথা - বাসু-ধর, ধ্রুব, সোম, অহ, অনিল, অনল, প্রত্যুষ এবং প্রভাষ ।
তৃতীয় ভাগে আছে ১১ টি প্রকার। যথা - রুদ্র-হর, বহুরুপ, ত্রয়ম্বক, অপরাজিতা, বৃষাকাপি, শমভু, কপার্দী, রেবাত, মৃগব্যাধ, শর্বা এবং কপালী ।
চতুর্থ ভাগে আছে ২ টি প্রকার। যথা - অশ্বিনী এবং কুমার ।
এই হলো মোট তেত্রিশ প্রকার। এটা সনাতন ধর্মের সকলের জানা দরকার।
এবার দেখা যাক আসল অর্থ কি? প্রথমে 'কোটি' শব্দটি নিয়ে বলি।কোটি অর্থ প্রচলিত বাংলায় সংখ্যাসূচক (crore) হলেও সংস্কৃত ভাষায় এর অর্থ 'ধরণ' বা 'প্রকার'। আর বেদে দেবতা বলে কোনো শব্দ নেই, আসল সংস্কৃত শব্দটি হলো 'দেব'।আর সংস্কৃত ভাষায় দেব শব্দটির অর্থ শক্তি। অর্থাৎ তেত্রিশ কোটি দেব এর অর্থ তেত্রিশ প্রকার শক্তি। ঈশ্বরের তেত্রিশ প্রকার শক্তির কথাই বলা হয়েছে বেদ ধর্মগ্রন্থে।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে এই তেত্রিশ প্রকারে কোন কোন শক্তির কথা বলা হয়েছে। এগুলোকে ভাগ করা হয়েছে চার ভাগে।
প্রথম ভাগে আছে ১২ টি প্রকার । যথা - আদিত্য-ধাতা, মিত, আযমা, শুক্রা, বরুন, অংশ, ভাগ, বিবস্বান, পুষ, সবিত্রা, তবাস্থা এবং বিষ্ণু।
দ্বিতীয় ভাগে আছে ৮ টি প্রকার। যথা - বাসু-ধর, ধ্রুব, সোম, অহ, অনিল, অনল, প্রত্যুষ এবং প্রভাষ ।
তৃতীয় ভাগে আছে ১১ টি প্রকার। যথা - রুদ্র-হর, বহুরুপ, ত্রয়ম্বক, অপরাজিতা, বৃষাকাপি, শমভু, কপার্দী, রেবাত, মৃগব্যাধ, শর্বা এবং কপালী ।
চতুর্থ ভাগে আছে ২ টি প্রকার। যথা - অশ্বিনী এবং কুমার ।
এই হলো মোট তেত্রিশ প্রকার। এটা সনাতন ধর্মের সকলের জানা দরকার।
0 মন্তব্য(গুলি):