শিবধর্ম কি.......
শিবধর্ম ভারতের আদি ধর্ম । সৃষ্টির শুরু থেকে রুদ্র বা শিব ঈশ্বর রূপে সকলের কাছে পূজিত হয়ে আসছে । বেদ যাকে রুদ্র বলেছে , পুরাণ সমূহে তাকে শিব বলা হয়েছে । ভারতের প্রাচীনতম সভ্যতা হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারোতেও শৈবযোগধর্ম প্রচলিত ছিল তার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে । মহাভারতের যুদ্ধের পর থেকে অবতারবাদ শুরু হয় , মানুষ অবতারকে ভগবান মানতে শুরু করে দেয় । ফলে তৈরী হয় নানা মতবাদ এবং নানা সম্প্রদায় । নিজের মতবাদ তথা নিজের সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার লক্ষ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী ভণ্ডের দল দেবতাদের মধ্যে এবং পুরাণাদির মধ্যে ভেদাভেদ শুরু করে দেয় । তৎকালীন সময়ে কোনও ছাপাখানা ছিল না , হস্তলিখিত গ্রন্থ পঠন পাঠন হতো । ভেদাভেদকারী বিদ্বেষকারী ভণ্ডের দল সেই গ্রন্থগুলিতে নিজেদের মতামত খেয়াল খুশী মতো সংযোজন করতে থাকে । তারই পরিনাম স্বরূপ আজ দেখতে পাওয়া যায় , এটা স্বাত্ত্বিক পুরাণ , এটা রাজসিক পুরাণ , এটা তামসিক পুরাণ , এই গ্রন্থ পাঠ করা উচিৎ নয় , এই দেবতাকে পূজা করা উচিৎ নয় , এই দেবতাকে ভজলে নরকগামী হতে হয় ইত্যাদি । যে শিবকে বেদ , উপনিষদ্ , রামায়ন , মহাভারত এবং সম্পূর্ণ পুরাণ সমূহতে সর্বসিদ্ধিদাতা মহেশ্বর রূপে বর্ণনা করা হয়েছে , তার মাহাত্ম্য বর্ণিত গ্রন্থ পাঠ করলে এবং তাকে ভজলে কিভাবে নরকগামী হতে হয় তা পণ্ডিৎগণ নিজেরাই বিচার করুন। লেখা দীর্ঘায়িত না হয় সেই লক্ষ্যে আমি যজুর্বেদের ষোলতম অধ্যায় থেকে একটি মাত্র উদাহরন উপস্থাপন করলাম -- ' নমঃ শম্ভবায় চ ময়োভবায় চ নমঃ শঙ্করায় চ ময়স্করায় চ নমঃ শিবায় চ শিবতরায় চ ।। 41 ।। ' এখানে পরমেশ্বর রুদ্রকে শিব , শম্ভু , শঙ্কর প্রভৃতি নামে স্তুতি করা হচ্ছে । এইরকম সমস্ত গ্রন্থেই শিবকে পরমেশ্বর জ্ঞানে স্তুতি করা হয়েছে , ব্রহ্মা বিষ্ণু এবং শিবকে অভেদ দৃষ্টিতে দেখতে বলা হয়েছে । তবে কি সব গ্রন্থই তামসিক , বেদ তামসিক , বেদ পাঠ করলে কি নরকে যেতে হবে ?
ওঁ নমঃ শিবায় , হর হর মহাদেব ।
শিবধর্ম কি-JHP SANDWIP
প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ১৩, ২০১৯
0 মন্তব্য(গুলি):