“শ্রী” শব্দটি সংস্কৃত ভাষার সবচেয়ে ছোট শ্লোক । “শ্রী” শব্দে তিনটি অক্ষরের সন্নিবেশ হয়েছে । সুতরাং এটি একটি অক্ষর নয়, শব্দ । শ্রী অর্থে - ঐশ্বর্য, সেীভাগ্য, সৌন্দর্য, লাবণ্য, শোভা প্রভূতি । নামের পুর্বে শ্রী লেখার অর্থ আপনি উপরোক্ত বিশেষনে ভুষিত । অন্যার্থে আপনি উপরোক্ত অর্থে শ্রীযুক্ত হোন বলে আর্শীবাদ। শ্রদ্ধা ভক্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে গ্রন্থ বা ব্যক্তির নামের পুর্বে অতিরিক্ত শ্রী যুক্ত করে প্রকাশ করা হয় । সনাতন ধর্মে আমরা আশা করি -সকলেই সৌভাগ্যবান, শোভা, সম্পদশালী হোন । এজন্যই আমাদের প্র্রার্থনা মন্ত্রে আছে- সর্বে ভবস্ত্ত সুখিনঃ, সর্বে সন্ত্ত নিরাময়াঃ । সর্বে ভদ্রাণি পশ্যন্ত্ত, মা কশ্চিদ দুঃখভাগ্ ভবেৎ ।। - সকলেই সুখী হোক, সকলেই নিরাময় থাকুক । সকলে শুভ দেখুক, কেউ যেন দুঃখ ভোগ না করে । শ্রী লেখা শাস্ত্রীয় বিধান নয়, এটা সামাজিকভাবে হিন্দু সমাজে প্রচলিত হয়েছে । নিজের নাম স্বাক্ষরের পুর্বে শ্রী লেখা সঙ্গত। কারন ‘শ্রী’ জীবিত ব্যক্তির নামের পুর্বে বসে । যে ব্যক্তি নিজেই স্বাক্ষর করবে সে তার জীবদ্দশায় সহি করেছে এটা তার প্রমাণ হবে ।
খবর বিভাগঃ
শ্রী ’’ ব্যবহার কেন ?
0 মন্তব্য(গুলি):